আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে স্বতঃপ্রণোদিত রুল শুনানির জন্য উঠলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতীয় সম্পদ, জাতীয় উন্নয়ন। আমাদের অহংকার। জাতীয় স্বার্থে পদ্মা সেতু। বিরোধিতাকারীরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যাঁরা থাকেন, তাঁরা জাতির ও দেশের শত্রু। তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।’
এরপর আদালত কাল মঙ্গলবার প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য দিন রেখেছেন। এর আগে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল, দুদক কৌঁসুলিসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে সাড়ে চার বছর আগে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রুল শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন গতকাল রোববার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তখন আদালত জানান, বিষয়টি সোমবার (আজ) শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে পদ্মা সেতুর নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগসচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ প্রেক্ষাপটে কমিশন গঠন ও কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে এর অগ্রগতিও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাতে বলা হয়।