দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দিপা রানিকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। এছাড়া তার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
বরগুনা আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের বলরাম দাসের মেয়ে দিপা দাস জম্মাবধি দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। পরিবারে তার বাবা, ঠাকুমা, ভাইসহ তারা ৪ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। তার মা সন্ধ্যা রানি বিভিন্ন বাড়িতে ঝিএর এবং পানের বরজে কাজ করে অতি কস্টে ৬জনের সংসার চালায়।
বাবা মাঝে মাঝে খালে নিজ হাতে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসারে সহযোগিতা করত কিন্তু সে এখন কাজ করতে পারেনা।
দিপা জানায়, সে বরগুনা খলিফা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বরিশাল আলেকান্দা সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এস এস সি পাশ করে। সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য অন লাইনে আবেদন করলে ঢাকার মীরপুরস্থ শেখ ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে ৪ হাজারের মত টাকা লাগে। কিন্তু তারা এ টাকা না থাকায় সে কলেজে ভর্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।তারছোট ভাই বরগুনা দৃস্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্র।
এমতাবস্থায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হলে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান দিপার শিক্ষা এবং চিকিৎসার বিষয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতার উদ্যোগ নেন।
জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে কলেজে ভর্তির জন্য ৫ হাজার টাকা প্রদান করে জানান, দিপার চোখ ভাল হবার সুযোগ থাকলে তিনি নিজে এবং রাস্ট্রীয় পর্যায় থেকে সহযোগিতার উদ্যোগ নেবেন। প্রয়োজনে প্রধানমনন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করবেন।
জেলা প্রশাসক দিপা যাতে আরো সহযোগিতা পেয়ে শিক্ষা অব্যাহত রাখতে পারেন সে উদ্যোগও নেবেন বলে জানান।
এ সময় জেলা প্রশসেকে সাথে ছিলেন- বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া শারমিন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. নাজমুল ইসলাম, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মো. মেহেদি হাসান, দিপার মা সন্ধ্যা রানি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি চিত্তরঞ্জন শীল প্রমুখ।