আগামী ডিসেম্বরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলের ২২তম সম্মেলনের আগেই সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
শনিবার (৭ মে) দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তাদেরকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বিভাগে সহযোগী সংগঠনের ব্যাপারেও তারা খোঁজখবর রাখবেন। আর সহযোগী হোক কিংবা আমাদের মূল পার্টি, মেয়াদোত্তীর্ণ সব সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষ করতে হবে।’
দলের মধ্যে বিভক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিভক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত দল। শৃঙ্খলার যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বিভাগের নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেটা তারা করতে অসমর্থ্য হয়, সেটা নেত্রী পর্যায়ে আসবে। এখন আমাদের মিটিং পরবর্তী সময়ে ঘনঘন হবে।’
আজকের সভায় সাংগঠনিক কার্যবিধি নিয়ে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার এগুলো তৈরি করার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এখন থেকেই সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
আজকের কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল- শোকপ্রস্তাব পাঠ, ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ১১ জুন কারামুক্তি দিবস, ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাংগঠনিক ও বিবিধ। এর বাইরেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ সীমিত পরিসের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।