ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আইনের ছাত্র ছিলেন তিনি।
আইনে স্নাতক হন কিয়েভ ন্যাশনাল ইকনোমিক ইউনিভার্সিটি থেকে। কিন্তু আইনজীবী হওয়ার কোনও আগ্রহ তাঁর ছিল না। তিনি ছিলেন কৌতুক অভিনেতা। কখনও কি ভেবেছিলেন যে তিনিই একদিন হয়ে উঠবেন রাষ্ট্রনেতা!
প্রেসিডেন্টের পরিচয়ের চেয়ে তিনি একজন কমেডি অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর দাদা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেড আর্মিতে কাজ করেছিলেন। সোভিয়েত সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীতে পুরো যুদ্ধ এবং স্বাধীন ইউক্রেনে কর্নেল হিসাবে মারা যান তিনি।
২০১৯ সালে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কৌতুক অভিনেতা জেলেনস্কি রাষ্ট্রপতি পেট্রো পোরোশেঙ্কোকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়ী হন।
কাকতালীয়ভাবে তিনি যে কমেডি শো-এর জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সেখানেও প্রেসিডেন্টের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন জেলেনস্কি। ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল’ টেলিভিশন শো-তে তিনি ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তারপর সেখানে আচমকাই তিনি হয়ে ওঠেন দেশের প্রেসিডেন্ট।
বাস্তবেও জেলেনস্কির জার্নিটা অনেকটা সে রকমই। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৭৩.২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এবং প্যান্ডোরা পেপারসেও নাম রয়েছে এই রাষ্ট্রপতির। জেলেনস্কি তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অনেকেই তাঁকে ইউক্রেনীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে ডাকেন। কারণ, দুইজনেরই বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল।২০০৩ সালে তিনি ওলেনা জেলেনস্কাকে বিয়ে করেন।
জেলেনস্কি-ওলেনা দম্পতি এক ছেলে এবং একটি মেয়ে আছে। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁকে নাৎসিদের প্রতিনিধি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।