বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ফেরী করে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান এবং তদারকি না থাকায় প্রকাশ্যে বাজারে অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী উপজেলার মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাগর ও পায়রা নদীসহ আশেপাশের বিভিন্ন নদী থেকে ধরা জাটকা ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজারে প্রকাশ্যে ফেরী করে জাটকা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়।
বুধবার (২ মার্চ) সকালে আমতলী নতুন বাজার (বাঁধঘাট) ও একে স্কুল মাছ বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেক মাছ ব্যবসায়ীকে। ৫০০ গ্রাম ওজনের নীচে ইলিশ ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্তে¡ও কতিপয় অসাধু জেলেরা সাগর ও পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী থেকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ শিকার করে তা প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি করছে। অভিযান চালালে হয়তো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানায়, বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা, কলাপাড়ার মহিপুর, বাইশদা, মৌডুবী, তালতলীর বগী, পঁচাকোড়ালিয়া এবং আমতলীর বৈঠাকাটা, গুলিশাখালী এলাকা থেকে এই বাজারে জাটকা ইলিশ মাছ আসে। অনেকেই জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি করে তাই আমিও করি। অভিযানের সংবাদ পেলে লুকিয়ে রেখে তা গোপনে বিক্রি করি। অনেকদিন হয়েছে বাজারে কোন অভিযান চালাতে দেখিনি।
আমতলীর স্থানীয় সাংবাদিক মো. কবির দেওয়ান বলেন, ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে অনেক অসাধু জেলে জাটকা ইলিশ শিকার করছেন। যে কারনে আগামী দিনগুলোতে স্থানীয় নদ-নদীগুলো ইলিশ শূন্য হতে পারে। এতে করে স্থানীয় জেলেদের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি করে দেশ হারাবে ইলিশ সম্পদ। তাই এখনি প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাটকা ইলিশ শিকার ও বিক্রি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব মুঠোফোনে বলেন, জরুরী ভাবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।