বরগুনার পাথরঘাটায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালে ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা কমিউনিটি সেন্টার এলাকার বাজারের ডিলার ছগির হাওলাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৭ মার্চ) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই অভিযুক্ত ডিলারের তিন বস্তা চাল জব্দ করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ ও কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালমেঘা ইউনিযন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম নাছির বলেন, ডিলার ছগির হাওলাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে। আজ ৭ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদকে না জানিয়ে অনেকটা গোপনিয়তায়ই চাল বিতরণ শুরু করেছেন ছগির মিয়া।
জানা গেছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগীদের প্রতি বস্তায় তিন থেকে পাঁচ কেজি চাল কম দেওয়া হচ্ছে। এ খবরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রতিটি বস্তা সেলাই করার কথা থাকলেও ডিলারের দোকান থেকে বিতরণ করা চালের বস্তা সেলাইকরা ছিলনা ছিল রশি দিয়ে বাঁধা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী মোহাম্মদ মনির দুলাল হোসেন, ফাতিমা বেগম বলেন, তাঁরা সকাল ১০টার দিকে প্রত্যেকে এক বস্তা করে তিন বস্তা চাল নিয়েছেন। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি চাল থাকার কথা থাকলেও তিনটি বস্তায় চাল ছিল যথাক্রমে ২৫ কেজি ৭৫০ গ্রাম, ২৭ কেজি ৩২০ গ্রাম ও ২৭ কেজি ৩০০ গ্রাম। স্থানীয় লোকজনের সামনেই বস্তাসহ ওজন দিয়ে ওই পরিমাণ চাল পাওয়া গেছে। আরও যাঁরা চাল নিয়েছেন, তাঁদের বস্তায়ও তিন থেকে পাঁচ কেজি করে ওজনে কম পাওয়া গেছে।
ঘুটাবাছা কমিউনিটি সেন্টার বাজারের খাদ্যবান্ধব ডিলারে ঘরে গিয়ে ওই দোকান ঘর বন্ধ পাওয়া যায়। দোকানের পাশের ব্যবসায়ীরা বলেন, চাল কম দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার পর দোকান বন্ধ করে তিনি সরে পড়েন।
তবে ডিলার ছগির মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি অন্য এক জায়গায় এসেছি এ বিষয় আমি পরে কথা বলব।’
কালমেঘা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামাল হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইউব আলীর অভিযোগ, ঘুটাবাছা কমিউনিটি সেন্টার বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের জন্য ৫, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (একাংশ) ৪০৬ জন উপকারভোগীর নির্দিষ্ট ডিলার ছগির হাওলাদার। সরকারি ওই ডিলার প্রতিবারই উপকারভোগীদের ওজনে কম চাল দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ হাতেনাতে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে।
বিষয়টি প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শরীফ মোল্লা বলেন, চাল ওজনে কম দেয়ার ঘটনাটি হাতেনাতে ধরা পড়েছে এবং ৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। ডিলার ছগিরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।