রুদ্র রুহান
একবারো কি ভাবছিলা! আমারে ছাইড়া ওই শহরে যাইবার কালে?
ভাবোনাই- ভাবলে তুমি আমারে ছাইড়া ওই ইট পাথুরে শহরে পা বাড়াইতানা
আমি তোমারে চাইর দেয়ালের বন্ধ কক্ষে যন্ত্রশীতল সয্যা দিতে পারতাম না ঠিক।
তয় ভাঙা চালার ফাঁক গলা জোছনার পরশ আর দখিনা বাসাতের নিশ্চিন্ত নিদ্রা দিতে পারতাম।।
ঝড়নার কলে কর্পোরেট জলে তোমার উষ্মস্নানের বন্দোবস্ত করতে পারতাম না হয়ত।
ঝুম বরষায় ভেজা মাটির গন্ধে মেঠোপথের কাঁচা ঘাসে খালি পায়ের হাঁটার শিহরণ দিতে পারতাম।
পুষ্পখচিত গালিচায় পেন্সিলহিলে তোমারে হাটাইতে পারতাম না ঠিক
তয়, শতরের শিশিরভেজা ঘাঁসে আলতারাঙা পায়ে তোমার পদযুগল নাওয়াইতে পারতাম।
দামি রেস্তোরায় রিচফুড বা রেস্টুরেন্টে নিয়া ফাস্টফুড খাওয়াইতে পারতাম না
উনুনের হাড়িতে মোটা চালের ভাত আর বিষখালীর মোটাতাজা ইলশা মাছভাজা ঠিকই খাওয়াইতে পারতাম।
চরচক্রযানে তোমারে লইয়া লং ড্রাইভে যাওয়া কখনোই হইতোনা হয়ত,
তয় ঝুমবরষায় হুডতোলা রিকশায় অথবা চৈতিরোদে নিজের ছায়ায় আড়াল কইরা লইয়া পথ চলতে পারতাম।
আমি বড্ড সেকেলে আর মাণ্ধাতার ধাঁচের, তথাকথিত উন্নত মস্তিষ্কের বাম হাতটি নেই আমার।
এই মাটির গন্ধ মেখে চাষাভুষাগো লগে গল্প কইরা রাইত কাটাইয়া দিতেই আমার সুখ।
কর্পোরেট দুনিয়ার বানিজ্যিক মননে অর্থে কেনা সুখের অসুখে ভোগা কোনো প্যাকেজ আমি নই।
- সুখের সমিকরণ
- রুদ্র রুহান
- ১৪ অক্টোবর, ২০২১
- কালমেঘা