ঢাকারবিবার, ১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউএনও’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

তালতলী প্রতিনিধি
মার্চ ৭, ২০২২ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
পঠিত: 161 বার
Link Copied!

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কাওছার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে।

আদালতের আদেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আমতলী সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বদরুল আলম বাবুল নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ আতিকুল হক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন ছাড়াও সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো, সার্ভেয়ার ও বড়বগী ইউনিয়নের তহসিলদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তালতলীতে সহকারী কমিশনার না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

জানা যায়, উপজেলা বড়বগী মৌজার ৩৯৯৩ ও ৪০০০ দাগের ৪ একর কৃষি জমি ১৯৬৪-৬৫ সালে মৌলভী লতিফ ও সিদ্দিকুর রহমানকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় সরকার। পরে ১৯৮১ সালে ওই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও রেকর্ডি জমি থেকে বদরুল আলম বাবুলসহ কয়েকজনের কাছে ২ একর ৬৭ শতাংশ বিক্রি করেন তারা। সেই সাথে প্রায় ৪১ বছর ভোগদখল করে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করেন। কোন প্রকার নোটিশ ও উচ্ছেদের কাগজপত্র ছাড়াই প্রথমে রেকর্ডি সম্পত্তি দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

পরে গত ২৫ জানুয়ারি আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বদরুল আমল বাবুল গং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য ওই ৫ জনকে বলেন।

আদালতের লিখিত নোটিশ অন্য তিনজন গ্রহণ করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার গ্রহণ করেননি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই জমি দখল নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য ভরাট করে। বিষয়টি বাদীপক্ষ আদালতকে জানান। আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন এবং বলেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন প্রকার কাজ করা যাবে না। আদালতের আদেশ অমান্য করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ শুরু করে।

পরে গত ৪ মার্চ আমতলী সহকারী জজ আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন ছাড়াও সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেমা ভূমি অফিসের কানুনগো, সার্ভেয়ার ও তহসিলদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

মামলার বাদী বদরুল আলম বাবুল বলেন, আমাদের রেকর্ডি সম্পত্তি ও সরকারি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জমিতে ইউএনও কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই দখল নিয়েছেন। এরপরে আশ্রয়ন প্রকল্প ঘর নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করি। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলেও তিনি সেই আদেশ মানেননি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ আতিকুল হক বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে নোটিশ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।