আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে লক্ষ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রকৃতির ফলজ বনজ গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আসামীদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে আদালতে মামলা। জামিনে বেড়িয়ে আসামীরা নানাবিধ হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার জে এল নং ৩৩ ঘোপখালী মৌজার এস এ ১৩১ নং খতিয়ানের আমতলী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ১৯৭৪ সালে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৮০৮ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ৪শতাংশ, একই মৌজার একই খতিয়ানের আমতলী রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত ৬৮০৯ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ৪ শতাংশ, একই মৌজার একই খতিয়ানে ১৯৭৯ সালে আমতলী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৪৪৫৪ নং দলিলে ২০ শতাংশ এবং একই মৌজার একই খতিয়ানের আমতলী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একই সালে রেজিস্ট্রিকৃত ৪৪৫৫ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ৯ শতাংশ মোট ৩৭ শতাংশ জমি মজিবর রহমান হাওলাদার নামক জনৈক ব্যক্তি ক্রয়সূত্রে মালিক নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বনজ গাছ লাগিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করেছিলেন। মজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার সন্তান ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়েছে। মজিবুর রহমানের ওয়ারিশরা বরগুনা জেলা শহরের স্থায়ীভাবে বসবাস করে।
ওয়ারিশগণ এলাকায় বসবাস না করার ফলে তাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে প্রতিবেশীরা।
গত ৭ জানুয়ারি দুর্বৃত্তরা বেআইনি জনতাবদ্দে দা, ছেনা, করাত, কুঠার, শাবল রশি ইত্যাদি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৃত মজিবুর রহমানের ওয়ারিশদের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং ওয়ারিশদের জন্মানো ২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের পাঁচটি রেইনট্রি গাছ, এক লক্ষ টাকা মূল্যমানের পাঁচটি চাম্বল গাছ, ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের দুইটি কড়াই গাছ, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের বারোটি মেহগনি গাছ, ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের সাতটি বাদাম গাছ, সর্বমোট ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকার গাছ জোরপূর্বক কাটে নিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ৩০/৩২টি ছোট গাছ কাটে ও ভাঙ্গে অনুমান ২৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। ওয়ারিশগণ লোক মারফৎ খবর পেয়ে কেন গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা তাদের খুন ও গুরুতর জখম ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ সোহাগ আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর-১৩১/২২। ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ (২য় ভাগ)/১০৯দঃবিঃ। মামলার আসামিরা হলেন, আমতলী গ্রামের মৃত আব্দুল গনি হাওলাদারের পুত্র জাহাঙ্গীর মাস্টার, আলমগীর হোসেন, মুরাদ হাওলাদার, একই গ্রামের নুর মোল্লার পুত্র শাহ আলম মোল্লা, তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের সাপমারা গ্রামের জনাব আলীর পুত্র হানিফ মাস্টার। এছাড়াও অজ্ঞাত ২০/১২ জন আসামি রয়েছে।
আদালতে মামলা করায় আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জামিনে বেড়িয়ে আসামীরা নানাবিধ হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের লোকজন।