আমতলীর কৃষ্ণনগর গ্রামে সালমা (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য দু’দফা নির্যাতন করে আটক করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে প্রতিবেশী উকিল বাবা উদ্ধার করে বুধবার সকালে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের স্ত্রী বিপত্নীক মো. গেন্দু মিয়ার সাথে ঢাকার কেরানি গঞ্জের কুন্ডা ইউনিয়নের ব্রাম্মন গাঁও গ্রামের মৃত মমিন মাঝির মেয়ে স্বামী বিপত্নীক সালমার সাথে ২০২১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালমার পরিবার থেকে গেন্দু মিয়াকে বিভিন্ন উপঢৌকন দেওয়া হয়। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই গেন্দু মিয়া সালমার নিকট তার বাবার বাড়িতে পাওয়া জমি বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। সালমা এতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই গেন্দু মিয়া মারধর করেন।
মঙ্গলবার সকালে সালমাকে মারধরের পর ঘরে আটকে রাখেন। বুধবার সকালে আবার তাকে যৌতুকের জন্য বাশের লাঠির দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে সালমার উকিল বাবা প্রতিবেশী বাসিন্দা সিপন সরকার বুধবার সকালে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আহত সালমা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী গেন্দু মিয়া আমার বাবার বাড়িতে পাওয়া জমি বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। আমি টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই সে আমাকে মারধর করে। মঙ্গলবার আমাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। বুধবার সকালে আবার বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
অভিযুক্ত গেন্দু মিয়া বলেন, আমি যৌতুকের জন্য মারধর করিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে এঘটনা সজিয়েছে।
সালমার উকিল বাবা সিপন সরকার বলেন, গেন্দু মিয়া প্রায়ই সালমাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে। মঙ্গলবার ও বুধবার বাশের লাঠি দিয়ে দু’দফা পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আমি তাকে বুধবার সকালে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বলেন, গৃহবধূ সালমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।