কাতার প্রবাসী মোঃ আল মামুন ও তার স্ত্রী সালমা বেগমকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্ত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী আল মামুন তার জমিতে মুগডাল বপন করে। ওই খেতের ডাল বড় ভাই জাহাঙ্গির হাওলাদার তুলে এনে তার গরুকে খাওয়াচ্ছিল এমন অভিযোগ আল মামুনের। মুগডাল তুলে আনার প্রতিবাদ করায় বড় ভাই জাহাঙ্গির হাওলাদার ও তার সহযোগী সেকান্দার হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই মামুনকে মারধর শুরু করে। স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী সালমা বেগম এগিয়ে গেলে তাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে। এতে সালমা বেগম আহত হয়।
আহত সালমা বেগমকে শুক্রবার রাতে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অপর আহত মামুনকে প্রাথমকি চিকিৎসা দেয়া হয়।
শনিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মারধরে সামলা বেগম বিষম ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন।
আহত সালমা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, স্বামী আল মামুন কাতার থাকা অবস্থায় গত তিন বছরে তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে ভাসুর, শশুরসহ বাড়ীর লোকজন কয়েকবার মারধর করেছে। শুক্রবার আমার স্বামীকে তার ভাই জাহাঙ্গির হাওলাদার, চাচা সেকান্দার হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা মারধর করছিল। তাকে রক্ষায় আমি এগিয়ে গেলে আমাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
জাহাঙ্গির হাওলাদারের স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, গরুকে ডাল খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইউনুস আলী ফকির বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।