ছেলে সেনাবাহিনীর গাড়ী চালক মোঃ কাওসার আলীর স্ত্রী নাসরিন ও দুই নাতনিকে আনতে গিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিক্ষক আজিজুর রহমান মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষক আজিজুর রহমান এমন অভিযোগ করেন।
স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ আজিজুর রহমান শুক্রবার বিকেলে ছেলে সেনাবাহিনীর গাড়ী চালক মো কাওসার আলীর স্ত্রী নাসরিন ও তার দুই নাতনিকে আনতে বেয়াই মোস্তফা গাজীর বাড়ীতে যায়। বেয়াই বাড়ীতে পৌছা মাত্রই বৃদ্ধ আজিজুর রহমানকে বেয়াই মোস্তফা গাজী, কবির গাজী, অলি ও ছেলের বউ নাসরিন কিল ঘুসি মারে। তাদের মারধরে বৃদ্ধ আজিজুর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মারধরে বৃদ্ধ আজিজুর রহমান বিছানায় বিষম ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন।
বৃদ্ধ শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, ছেলের বউ ও দুই নাতনিকে আনতে যাওয়ায় আমার বেয়াই মোস্তফা গাজী, পুত্রা কবির গাজী, অলি ও ছেলের বউ নাসরিন আমাকে বেধরক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে বেয়াই মোস্তফা গাজী বলেন, আমার মেয়েকে রেখে জামাতা অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
আমতলী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইউনুস আলী ফকির বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।