বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বিরোধীতা করে সরকারদলীয় প্রার্থীর প্রস্তাবকারী হওয়ায় বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম (টুকু) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্য অভিযোগ করার প্রতিবাদে অধ্যক্ষের পক্ষে বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা।
বেলা ১১ টায় বামনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিলন কৃষ্ণ হালদার।বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম (টুকু) বিরুদ্ধে জনবল কাঠামো ৯৫’র বিধিমালা লংঘন করে ১৯৯৫ সালে অনার্স ফাইনাল বছরের ছাত্র থাকাকালীন তাকে ইংরাজি প্রভাষক পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে পারলে তার বৈধ বলে গন্য হবে। এই শর্ত বে-সরকারী স্কুল ও কলেজ বিধি বর্হিভূত। ১৯৯৮সালে স্নাতকের ছাত্র থাকাকালীন ২য় বিভাগে উত্তর্নি দেখিয়ে নিয়োগ বৈধ করা হয়। ২০০১ সালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় সে ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত মিথ্যা অভিযোগ করার প্রতিবাদে অধ্যক্ষের পক্ষে বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার( ১৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় বামনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিলন কৃষ্ণ হালদার।
অধ্যক্ষের লিখিত বক্তব্য থেকে জানাগেছে, হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে ৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময়ে কলেজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় মো. মিজানুর রহমান কর্তৃক ২২ আগষ্ট তারিখে স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠায়। যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
অধ্যক্ষের মুঠোফোনে জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান যে অভিযোগ গুলো করেছেন তার একটিও সত্য নয়। আমাকে ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলেও একই বিষয়ে হয়রানী করা হয়েছিলো। পরে সকল একাডেমিক সনদপত্র আমি সঠিক নিয়মে জমাদিয়ে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেয়েছি। মুলকথা আমি ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে ক্ষীপ্ত হয়ে এসব করছেন।
এব্যাপারে ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানান,আমি দুই মেয়াদে প্রায় ৭বছর ধরে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজারো মানুষ আমার বিরোধিতা করেছে আবার সমর্থনও করেছে এর আগে আমি অধ্যাক্ষ সাহেবসহ কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি। সে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছে,আমি সকল প্রমানপত্র সহ অভিযোগ করেছি তদন্ত করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
মাসুদ রেজা ফয়সাল